স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে আবারও সাফ ওমেন চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করলো বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপালের মেয়েদের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা ও দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলার মেয়েরা।
২০২৩ সালে নেপালকেই হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ট্রফি নিয়ে ঢাকায় ফেরার পর ছাদখোলা বাস দিয়ে সাফজয়ী মেয়েদের বরণ করা হয়েছিল।
বুধবার (অক্টোবর) নেপালের মাঠে এ ফাইনাল ম্যাচে প্রথমাধ্যের খেলা শেষ হয়েছিল গোল শূন্য ব্যবধানে। বিরতির পর প্রথমে মনিকা চাকমা এগিয়ে দিলেও সমতায় ফিরে নেপাল।
সমতায় ফিরলেও ঋতুপর্ণা চাকমার গোলে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেই জয়ের উল্লাসে মাতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চাপে রেখে লেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে নেপালের ডিফেন্স ভেঙে গোল পাচ্ছিল না ঋতুপর্ণা চাকমারা। ফলে প্রথমার্ধে গোল শূন্য ব্যবধানে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫২তম মিনিটে মনিকা চাকমার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পিছিয়ে পড়লেও সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি নেপাল। গোল খাওয়ার চার মিনিট পরেই সমতায় ফেলে স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন আমিশা।
সমতায় ফিরে বাংলাদেশের উপর চাপ তৈরি করলেও ধমে যায়নি টাইগ্রেসরা। রক্ষণভাগ ঠিক রেখে একের পর এক আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে আবারও গোলে উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করে ঋতুপর্ণা চাকমা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত হিসেবে ৫ মিনিট যুক্ত হলেও গোলের লিড ধরে রাখে বাংলাদেশ।
শেষ বাঁশি বাজা মাত্রই জয়ের উল্লাসে মাতে ঋতুপর্ণা চাকমা-মনিকা চাকমারা। তবে স্বাগতিকদের এমন হারে নিশ্চুপ হয়ে যায় পুরো গ্যালারি।
এবার নিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে ছয়বার উঠলেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারলো না নেপালের মেয়েরা। বাংলাদেশ মোট তিনবার ফাইনালে উঠে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করলো।
এছাড়া ভারতের মেয়েরা টানা পাঁচবার সাফ চ্যাম্পিয়শীপের শিরোপা জয় করেছিল। মোট সাতবারের আসরে শেষ দুইবার ট্রফি জয় করলো বাংলার মেয়েরা। ২০১৬ আসলে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।