বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১০ উইকেটে টাইগ্রেসরা এটাই প্রথম হার।
এই হারে ৫ ম্যাচে ১ জয় ও ৪ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই থাকলো বাংলাদেশ। তবে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভারতের বিশাখাপত্নমে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
৯ ওভারে ৩২ রানের সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ফারজানা হক ও রুবাইয়া হায়দার। জুটিতে ২৪ বল খেলে ১টি চারে মাত্র ৮ রান করেন ফারজানা।
বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে আউট হন রুবাইয়া। ৫৯ বল খেলে ৮টি চার মারেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে শারমিন আকতারের সাথে ৫৩ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন রুবাইয়া।
উইকেটে সেট হয়েও নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হন শারমিন আকতার ও অধিনায়ক জ্যোতি। শারমিন ৩৩ বলে ১৯ এবং জ্যোতি ৩৫ বলে ১২ রান করে আউট হন। দলীয় ১০৪ রানের মধ্যে শারমিন ও জ্যোতি ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৬১ রানের ব্যবধানে ৫ ব্যাটার ফিরলে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে পরিণত হয় টাইগ্রেসরা। তবে শেষ উইকেটে ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে ১৯৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নামা সোবহানা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে অপরাজিত ৬৬ রান করেন সোবহানা। ৮০ বল খেলে ৯টি চারের সহায়তায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস সাজান তিনি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন তৃষ্ণা।
অস্ট্রেলিয়ার চার বোলার ২টি করে উইকেট নেন।
১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৭৮ রান এনে দেন দুই ওপেনার ফোবি লিচফিল্ড ও অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। ১৪তম ওভারে ১শ রান পায় অসিরা। এরপর হিলি ১৯তম ও লিচফিল্ড অষ্টম ওয়ানডে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
২৪তম ওভারে ওয়ানডেতে সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হিলি। এ জন্য তিনি খেলেন ৭২ বল। শেষ পর্যন্ত ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন লিচফিল্ড ও হিলি। ২০টি চারে ৭৭ বলে অপরাজিত ১১৩ রান করেন হিলি। ৭২ বল খেলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় অনবদ্য ৮৪ রান করেন লিচফিল্ড।
