স্পোর্টসমেইল২৪
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর করতে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুলবুলের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সাথে ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিসিবি সভাপতির চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তি বাদি হয়ে সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। রিটকারী চারজন হলেন- রাজবাড়ীর মঞ্জুরুল আলম, গোপালগঞ্জের জসিম উদ্দিন খসরু, লক্ষ্মীপুরের মঈনুদ্দিন চৌধুরী এবং টাঙ্গাইলের আলী ইমাম।
আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে ১৭ সেপ্টেম্বরের আগে বিসিবিতে জমা দেওয়া কাউন্সিলরদের তালিকাই বহাল থাকবে। এবং আজ (সোমবার) রাত ৭টায় পর্যন্ত যে সময় রয়েছে তার পরে বিসিবি কাউন্সিলরদের নামের তালিকা প্রকাশ করবে।
ঘোষিত তফসিল মতে, বিসিবি নির্বাচন ৬ অক্টোবর। এর আগে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিবিতে ফর্ম জমা দিয়েছিলেন সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে অ্যাডহক কমিটি থেকে যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি তাদের আবেদন বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর দিতে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিসিবি সভাপতির এমন নির্দেশ দেওয়া ক্ষমতা নেই এবং নির্বাচন নিয়ে বিসিবি সভাপতি নোংরামি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা দেওয়া তামিম ইকবাল।
বিসিবির সভাপতির এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে রোববার আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবার। একই অনুষ্ঠানে জেলা ও ক্লাব পর্যায়ের বিভিন্ন কাউন্সিলারও উপস্থিত ছিলেন। এবার হাইকোর্ট থেকে এমন নির্দেশনা আসলো।