বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজেও একও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার অধীনে ঘরের মাঠে বাইরে বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দলের ক্রিকেটারদের জন্য খালেদ মাহমুদ সুজন বেশ পজিটিভ বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে সমালোচনাময় একটি চরিত্র খালেদ মাহমুদ সুজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ‘ট্রল’-র শিকার হন তিনি। তবে এরপরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য নির্ভরতার জায়গা খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর জাতীয় দলের বাইরে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন খালেদ মাহমুদ। টি-টোয়েন্টি দলের জন্য হার্ড হিটার খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি।
এছাড়াও দুঃসময়ে দলের খালেদ মাহমুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব। ক্রিকেটারদের জন্য সুজন সবসময় পজিটিভ ব্যক্তি বলে জানান মাশরাফি মর্তুজা।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের জন্য উনি (সুজন) একজন পজিটিভ মানুষ। খেলোয়াড়দের কি প্রয়োজন, সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারেও উনি খেয়াল রাখেন।’
এছাড়াও দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারেও বেশ কঠোর খালেদ মাহমুদ সুজন। এমনটাই জানান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা রাখার ক্ষেত্রেও তার অবদান থাকে। এই জায়গা থেকে সুজন ভাইয়ের কথা বলতেই হবে।’
ক্রিকেট প্রশাসনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে অসংখ্য সাফল্য এনে দেওয়ার কারিগর ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় কিংবা বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে সাফল্য এনে দেওয়ার পিছনে ছিলেন তিনি।
সাফল্য এনে দিলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে হয় সবচেয়ে বেশি ট্রল। এছাড়াও দেশের বাইরে বিভিন্ন সফরে ক্যাসিনোতে যাওয়া নিয়েও সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
এতো সমালোচনার মধ্যেও দেশের ক্রিকেটে তার অবদান সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]