দলীয় ৯৯ রানেই হারালো ৩ উইকেট, শততম রানে নবম এবং ১০৯ রানে অলআউট। পরসংখ্যানটি হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে। রশিদ খানের বোলিং ঘূর্ণির বিপরীতে টাইগারদের এমন ব্যাটিংয়ে হারতে হয়েছেন ৮১ রানের ব্যবধানে, তাও আবার লক্ষ্য ১৯১ রান।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ বাকি রেখেই তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান।সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি টানা তৃতীয় সিরিজ হার। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তিন ম্যাচের সর্বশেষ দুই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
এছাড়া নিজেদের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের এটি টানা চতুর্থ সিরিজ হার। আফগানিস্তানের কাছে দু’বার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার কাছে একবার করে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১০ অক্টোবর) আবু ধাবির জাহেদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ইব্রাহিম জাদরান।
মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন জাদরান। ১৪০ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করেন তিনি।
১০ ওভারে ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার মিরাজ। এছাড়া রিশাদ-তানজিম ২টি করে এবং তানভীর ১ উইকেট নেন।
১৯১ রানের টার্গেট খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পেসার ওমারাজাইর বলে আউট হয়ে খালি হাতে ফিরেন তানজিদ।
পঞ্চম ওভারে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ৭ রানে থামেন তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট পতনে বিপদে বাড়ে টাইগারদের। ওপেনার সাইফ হাসানকে ২২ ও মিরাজকে ৪ রানে শিকার করেন ওমারজাই।
ওমারাজাইর তোপ সামলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি ও নুরুল হাসান। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়ের সাথে ২৯ ও ষষ্ঠ উইকেটে নুরুলকে নিয়ে ২০ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি জাকের।
আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পড়ে ৯৯ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হৃদয় ২৪, নুরুল ১৫ ও তানজিম শূন্য রানে রশিদের শিকার হন। ৪৩ বলে ১৮ রান করে খারোতের বলে আউট হন জাকের। শেষ পর্যন্ত ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
আফগানিস্তানের রশিদ ৮.৩ ওভার বল করে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং রশিদের।
